বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন
গোবিন্দগঞ্জ প্রতিনিধিঃ গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করায় দুটি পয়েন্টের ২৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ আবুল হোসেন বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। বালু উত্তোলনের পয়েন্ট দু’টি হলো চকরহিমাপুর ও নরেঙ্গাবাদ মেরী।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দায়ের করা এই মামলার আসামীরা হলেন সাপমারা ইউনিয়নের চক রহিমাপুর গ্রামের বাবু মিয়ার পুত্র মিঠু মিয়া (৩৫), মোস্তফার পুত্র তাহের হোসেন (২৪) ও আইযুব আলী (২২), মোঃ নাইস হুজুর (৪৫), মোঃ জামাল মিয়া পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর (৪০), মোঃ দুলা মিয়া পুত্র মোঃ লিটন (৩৫), দুলা মিয়ার পুত্র মোঃ শিপন মিয়া (৩০), মোঃ সাদেকের পুত্র মোঃখোকন বাবু (৩৬), মোঃ বজলুল’র পুত্র মোঃ মহিদুল (৩০) ও মো: শহিদুল (৩৫), তাজেলের পুত্র মোঃ শামীম (৩৩), অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির পুত্র মোঃ শফি (৩০), মোঃ রঞ্জু (৩২), মোঃ আবুল হোসেনের পুত্র মোঃ সোহেল (৩৩), অজ্ঞাতনামার পুত্র মোঃ আয়তাল (৩৮), মোঃ আব্দুলের পুত্র মোঃ মোস্তফা (৪৪), অজ্ঞাতনামার পুত্র মোঃ দুদু মিয়া (৩৬), মোঃ সামাদ আলীর পুত্র মোঃ সাদ্দাম (২৫), অজ্ঞাতনামার পুুত্র মোঃ বিপুল (২৭), মোঃ সুমন (২৫), মোঃ আলম (২৪), মোঃ এনামুল (৩০), নরেঙ্গাবাদের মোঃ আছমান আলী সরদার, মোঃ মতলেব সরদার (৪০), মোঃ শাহ আলম সরদার (৩৭), মোঃ বদি’র পুত্র মোঃ আমিরুল ইসলাম (৩৫), মৃত ইছো শেখের পুত্র মোঃ সামাদ শেখ (৪৫), দুদু মিয়া’র পুত্র মোঃ রেজাউল (৪৫), মোঃ গোলাম মোস্তফা’র পুত্র মোঃ নূরুল আমিন (৪৫), গাসাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের পুত্র মোঃ সেলিম মিয়া (২৫)।
মামলায় উল্লেখ করা হয় আসামীরা দীর্ঘ দিন ধরে দেশের প্রচলিত ভূমি আইন লঙ্ঘন করে করতোয়া নদী থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। এদের কারো কারো নামে গোাবিন্দগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তারপরে আসামীরা অবৈধ ভাবে ড্রেজার সহ অন্যান্য মেশিন ব্যবহার করে করতোয়া নদী থেকে বালু উত্তোলন অব্যহত রাখে। এতে নদী পারের ফসলি জমি বাড়ী,রাস্তা-ঘাট, সরকারি স্থাপনা নদীগর্ভে বিলিন হচ্ছে। আরো নতুন নতুন স্থাপনা গ্রাস করতে এগিয়ে আসছে। সেই সাথে ভূমিকম্প সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে পরিবেশ বিপর্যয় হতে পারে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জমান পুলিশ ও ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে চকরহিমাপুর ও নরেঙ্গাবাদের মেরী এলাকা অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বালু উত্তোলন ও নদী ভাঙনের এর সত্যতা পান। এর প্রেক্ষিতে সহকারি কমিশনার মোবাইল কোর্ট পরিচালনার প্রস্তুতি নিলে বালুু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তিনি পয়েন্ট দু’টির বালুুু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের নির্দেশ দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।